মোস্তাফিজুর রহমান: প্রথমবারের মতো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মায়ানমার, নেপাল এবং পেরুতে সংঘটিত মাদক চোরাচালান সম্পর্কিত অবৈধ আর্থিক প্রবাহের এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। 

ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) তথ্য আনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এই মাদকের মধ্যে রয়েছে মেথামফেটামিন ট্যাবলেট, হেরোইন এবং সিন্থেটিক ওপিওড যেমন বুপ্রেনোরফিন এবং ফেনসিডিল। 

মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু এবং বাংলাদেশ। তালিকায় এশিয়ার যে ৫টি দেশের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার।

আঙ্কটাডের এই প্রোগ্রামের প্রধান আনু পেলটোলা বলেছেন, এই ধরনের পরিসংখ্যানগুলো নির্দেশ করে  কোন সেক্টর, কার্যক্রম এবং চ্যানেলগুলির উপর আলোকপাত করা প্রয়োজন। এই অর্থ প্রবাহকে রোধ করার জন্য কোথায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তাও জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদক সংক্রান্ত অর্থ চোরাচালান সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং দুর্নীতিকে উৎসাহিত করতে পারে। পাশাপাশি আইনের শাসন, প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা এবং বিচার ব্যবস্থাকে খর্ব করতে পারে। 

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছে আঙ্কটাড। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব